Why Russian hacker's are dangerous | Bangla article


Why Russian hacker's are dangerous | Bangla article


Why Russian hacker's are dangerous | Bangla article


হ্যাকিং কি এবং এর ধারণা 


হ্যাকিং খুব ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু এর তাৎপর্য এবং গুরুত্ব দুটাই অপরিসীম।একজন মানুষের জীবন ধ্বংস করার ক্ষমতা তো হ্যাকার দের আছেই, গোটা একটা জাতির অপরিসীম ক্ষতি সাধনা করা সম্ভব শুধু এই হ্যাকিং এর মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে ধরতে পারেন।স্পাম মেইল পাঠিয়ে সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি ছুটিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে বিদেশের কিছু ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে হাতিয়ে নিয়েছিলো হাজার হাজার কোটি টাকা এই হ্যাকার রা। এর মধ্যে কিছু টাকা ফিরিয়ে আনা গেছে সত্যি কিন্তু বেশিরভাগ টাকার কোনো হোদিশ পাওয়া যায় নি।

সাওথ ইন্ডিয়ান সিনেমা দেখে আপনি যদি ভেবে থাকেন ভার্সিটি থেকে ড্রপ আউট হওয়া ক্রেক হেডেট কিছু তরুণ দিন রাত কম্পিউটারের সামনে বসেই এইসব করে ফেলছে তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তবে এইরকম হ্যাকার যে একদমই নেই তা নয় , ইন্ডিপেন্ডেন্ট হ্যাকার এর সংখ্যাও পৃথিবীতে কম নয়। কিন্তু দুনিয়া জুড়ে হ্যাকিং কে যারা শিল্পে পরিণত করেছে, যারা হ্যাকার হিসেবে দ্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে হয়ে উঠেছে আতঙ্কের নাম তাদের বেশির ভাগেরই পিছনে রয়েছে রাষ্ট্রটীয় মদদ।




Why Russian hacker's are dangerous in Bangla

আর পৃথিবীতে যেসব দেশগুলো হ্যাকারদের পিছনে সরকারিভাবে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে থাকে , তাদের মধ্যে সবার উপরে থাকবে রাশিয়া।তাই রাশিয়ান হ্যাকারদের সমিহ করে এবং ভয়ে চলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিজে। ছোট একটা তথ্য জানায় আপনাদের -

২০১৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ( Donal Trump )তিনি নির্বাচনে হারিয়েছিলেন হিলেরি ক্লিটোন ( Hillary Clinton ) কে

সেক্স টেপ, ইসলাম বিদ্বেষ, অভিবাসী বিরোধ ইত্যাদি নিয়ে যখন টানা সমচালনার মুখে পড়েছিল ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির, তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল কেলেঙ্কারি নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়াই জনমত জরিপে ট্রাম্পের পারদ আবার চলে গিয়েছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেছিলেন হিলোরি এমন ৩০ হাজার মেইল ফাস করে দিয়েছিল একটি হ্যাকার টিম। মজার ব্যাপার হয়েছে মেলগুলো ফাঁস হওয়ার কয়েক মাস আগে ট্রাম্প রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা যেন হিলারির ইমেইল হ্যাক করে। হিলারির রাষ্ট্রীয় দল অভিযোগ করেছিল রাশিয়ার সরকারি হিলারির মেইল হ্যাক করেছে, রাশিয়া যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। তবে দিনশেষে পিলারের হারের পেছনের কারণ খুঁজতে গেলে সেই মেইল স্ক্যান্ডালকে উপরের দিকে রাখা হয়। 


২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডে  প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে পুতিনের একটা বৈঠক হয়েছিল। শত্রুতার দেওয়াল ভেঙ্গে বাইরে পুতিনকে কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল বলেছিলেন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হলেও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেন সংবিধানের বাইরে রাখা হয়। অর্থাৎ রাশিয়া এবং আমেরিকা যদি যুদ্ধে জড়িয়ে পরে তাহলে এক দেশের হ্যাকররা যেন অন্য দেশের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক, শেয়ার বাজার, ট্রাফিক ও হেলথ সিস্টেমের ওপর যেন আঘাত না হানে,এমন কিছু হলে আমেরিকা চুপ থাকবেনা বলে শিতল হুমকি দিয়েছিল বাইডেন। পুতিন অবশ্যই বাইডেনের কথা রাখেননি এমনকি তার হুমকি কে পাত্তা দেননি।এই গোটা আলোচনায় একটা জিনিস পরিষ্কার যে--

আমেরিকা নিজেও রাশিয়ান হ্যাকারদের তান্ডবে উদ্ভিগ্ন।বাইডেন এবং পুতিনের ওই বৈঠকের ১মাস পরেই আমেরিকান সংস্থার বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের বড় বড় ওয়েবসাইট হ্যাক হয়‌।এই হ্যাকিং টা ছিলো মার্কিন প্রতিষ্ঠান গুলোর ওপর বড় ধরনের সাইবার আক্রমণের ধারাবাহিকতা মাত্র। প্রাথমিক লক্ষণগুলো ইন্গিত দেয় শত শত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ডেটা নয় ছয় করা হয়েছিল এই আক্রমণে। হ্যাকারদের এই আক্রমণের কৌশলগুলো ভিন্ন হলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ মিল ছিল এদের প্রত্যেকের মধ্যে প্রতিটি আক্রমণেই উৎস খুঁজতে গেলে গিয়ে ঠেকে রাশিয়ায়। রাশিয়া ভিত্তিক সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেড ( REVIL ) এই হামলার দায়ও সিকার করে। ক্ষতিগ্রস্ত তথ্য পূনরুদ্ধার করতে হ্যাকার রা ৭ কোটি ডলার দাবি করেছিল।

আজকে এই টুকুই থাক।

ধন্যবাদ সবাইকে আর্টিকেলটি পরার‌ জন্য।

আপনি চাইলে আমাদের ব্লগের ইনফরমেটিভ পোস্ট করতে পারেন-

Click 👇

 আমরাও কি ক্যাশলেস সোসাইটির সাথে অভ্যস্ত হতে শুরু করছি



Post a Comment

Previous Next

نموذج الاتصال